Description
তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি। কেউ তাকে দেখেনি, তবে ভয় পায়। তাকে ধরা-ছোঁয়া যায় না, তবু তার অস্তিত্ব সর্বত্র। তার পড়াশোনা নেই, হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষাও নেই। তার সিক্স-প্যাক নেই, নাচতে-গাইতেও জানে না, তবুও সে সেলিব্রিটি! তার নামই যথেষ্ট। সে পৃথিবীজুড়ে—গ্রাম, শহর নির্বিশেষে সর্বত্র আলোচিত নাম। সে খুবই সামান্য, তবু তার কাছে সবাই হার স্বীকার করে ফেলছে আর তটস্থ হয়ে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছে!
রকমসকম দেখে আর শুনে মনে হচ্ছে, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নামক জনপদে আসলে এক ‘লীলাভগবান’-ই জন্ম নিয়েছেন, আরও অনেক অনেক শিক্ষা দিতে। অদেখায় মানুষের বিশ্বাস স্থাপন করাতে। তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র জিনিসে গুরুত্ব আরোপ করতে।
আসলে এ শিক্ষাটাই বাকি থেকে গিয়েছিল, বোধহয় এই উন্নততর মানবসভ্যতার। ভারতীয়রা যখন দুই হাত জোড় করে “নমস্কার” করত, বিশ্ব তখন তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিল। ভারতীয়রা যখন ‘হাত-পা’ ধুয়ে গৃহে প্রবেশ করত, তখন বিশ্ব তাদের দেখে হাসতো। ভারতীয়রা যখন ‘পশুপূজা’ করছিল, তখন বিশ্ব তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিল। যখন ভারতীয়রা ‘গাছ ও জঙ্গলের’ সেবা করছিল, তখন বিশ্ব হাসছিল। ভারতীয়রা যখন ‘প্রধানত নিরামিষী আহারী’ ছিল, তখন সারাবিশ্ব হাসছিল। ভারতীয়রা ‘যোগব্যায়াম’ করার সময়ও সারাবিশ্ব হাসছিল। ভারতীয়রা যখন ‘পূজা-পাঠ, ধ্যান, যজ্ঞ’ করছিল, তখনও বিশ্ব হাসছিল। ভারতীয়রা যখন “শ্মশান-হাসপাতাল” থেকে আসত, তখন বিশ্ব হাসতো।
কিন্তু এখন? এখন ‘নমস্তে’ বিশ্বের প্রিয়, কেউ আমাদের নিয়ে হাসছে না। বাস্তবে বেদ-বর্ণিত সমস্ত পদ্ধতিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা ও সুরক্ষিত রাখার এক জীবন্ত পদ্ধতি।
Reviews
There are no reviews yet.