Description
একজন মানুষ তাঁর জীবদ্দশায় যে বৃহত্তম সেবা করতে পারেন, তা হলো মানবজাতির সেবা। বলা হয়ে থাকে—মানবজাতির সেবা করাই ঈশ্বরের সেবা। মানুষ আসে এবং চলে যায়, কিন্তু তাদের অসাধারণ কর্ম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে এবং অন্যদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
সৌভাগ্যক্রমে, আমাদের জাতি সত্যিই কিছু মহান পুরুষ ও মহিলার দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত, যারা মানবতার কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। মহাত্মা গান্ধী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাদার তেরেসা, বাবা আমতে—এরা কেবল কয়েকজনের নাম মাত্র। পুরাতন ভারত থেকে আধুনিক ভারত পর্যন্ত, এমন বহু ব্যক্তি আছেন, যারা অন্যদের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন, মানবতার কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।
আমরা সবাই সচেতন যে, ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের দেশ যেসব সাহসী নারী ও পুরুষের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তাদের অবদান অনস্বীকার্য। একইভাবে, আমাদের দেশের সেই নতুন ও পুরাতন, কম পরিচিত নায়কদের সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ, যারা হাজার হাজার মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছেন এবং এখনও করছেন। তাদের অবদান আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এনেছে এবং আনছে।
আমার বিশ্বাস, আমাদের দায়িত্ব হলো ভারতকে সত্যিকার অর্থে আরও উন্নত, আরও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করা। যারা অসাধারণ কীর্তি অর্জন করেছেন, যারা দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং এখনও নিয়ে চলেছেন, তাদের সম্পর্কে জানা ও তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা আমাদের কর্তব্য।
এই লেখায় বর্ণিত হয়েছে সেইসব মহান ব্যক্তিদের জানা-অজানা নানা কাহিনি, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়ক হবে এবং সমাজকে মানবিক গুণে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে—এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এই ধরনের চিন্তাভাবনা এবং প্রচেষ্টা শুধু অতীতের বীরদের স্মরণ করাই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষী যে, যারা নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন, তারাই প্রকৃত অর্থে সমাজ ও জাতির পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছেন।
আমরা যদি আজ আমাদের চারপাশের সমাজের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব—এখনও অনেক মানুষ আছেন, যারা নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক, শিক্ষক, সমাজকর্মী, বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে এমন অনেক সাধারণ মানুষও আছেন, যারা নিরবে-নিভৃতে মানবতার সেবা করে চলেছেন। তাদের অবদানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারাই সমাজের ভিতকে শক্তিশালী করে তোলেন।
তাই, শুধুমাত্র অতীতের মহান ব্যক্তিত্বদের নয়, বর্তমান ও ভবিষ্যতের নায়কদের সম্পর্কেও জানা এবং তাদের কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এইসব জানা-অজানা ব্যক্তিদের জীবন ও অবদান সম্পর্কে জানা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে, সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করবে এবং আমাদের নিজেদেরও সমাজের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এই বিশ্বাস থেকেই, এই গ্রন্থে এমন কিছু কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যা পাঠকদের নতুনভাবে ভাবতে শেখাবে, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুপ্রাণিত করবে এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করার এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই প্রচেষ্টা সফল হবে এবং এটি পাঠকদের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলবে।
Reviews
There are no reviews yet.