পুরাণ কাহিনীর অন্তর্নিহিত অর্থ (POURAN KAHINIR ANTARNIHITA ARTHA)

পৌরাণিক গল্প মানেই সেগুলো শুধুই গল্প, বাস্তব পৃথিবীতে সেই ঘটনা কখনোই ঘটেনি। এই গল্পগুলো বানানো হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলা অটুট রাখার জন্য—সর্বোপরি মানুষের কল্যাণের জন্য।

মনুসংহিতা অর্থশাস্ত্রাদি গ্রন্থে পুরাণকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়েছে এবং বেদের সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে। আধুনিক কালেও পুরাণের  গুরুত্ব কমে নি। সমাজতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব , দর্শন,নীতিশাস্ত্র এসব বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্যও  আমাদের পুরাণের  মুখাপেক্ষী হতে হবে। শুধু গবেষণা নয়, নাট্যাদি  চর্চাতেও পুরাণ অবশ্য পাঠ্য। যুগ যুগ ধরে  ভারতীয় সংস্কৃতির নানা ঘাত -প্রতিঘাতের ফলে পূর্ণ্যাশ্রয়ী আচার ,আচরণ,ধৰ্মবিশ্বাস ও জীবনচেতনার দ্বারা ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তিমূল আরো দৃঢ হয়েছে। জীবের জন্ম-মৃত্যুর যে প্রবাহমান চক্র , তা থেকে মুক্তিলাভই ভারতীয় দর্শনের মূল বিষয়। মুক্তিলাভের একমাত্র পথ ভক্তির পথ। এই ভক্তিভাব গীতায়  সংক্ষেপে বলা হয়েছে আর পুরাণ সমগ্রে এটি বিস্তরিতভাবে বলা হয়েছে।

এমত অবস্থায় লেখকের নিজস্ব ধারণা, বিভিন্ন অজানা বিষয় জানার আগ্রহ এবং বিভিন্ন পণ্ডিত মানুষের ব্যাখ্যা একত্র করে পাঠকদের মনোরঞ্জন ও সচেতনতার জন্য যে প্রয়াস, তা সফল হবে—এটাই আমার ধারণা। –Manuscript Reader